

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (১ জুন) সকালে র্যাব-৩ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে রাজধানীর গুলশান থানাধীন শাহজাদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৩ এর সিনিয়র এএসপি আবু জাফর মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ঘটনায় তদন্তে মানবপাচারকারী হিসেবে কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালের নাম উঠে আসে।
আজ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারীচক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। জব্দ করা হয়েছে পাসপোর্ট। অভিযান চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাত নয়টার দিকে লিবিয়ার মিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার শিকার বাকিরা আফ্রিকান।
এদিকে লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদাহ-তে কমপক্ষে ২৬ জন বাংলাদেশিকে লিবিয়ান মিলিশিয়া গুলি করে হত্যার তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক বাংলাদেশির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগে সক্ষম হয় দূতাবাস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি কোনো প্রকারে প্রাণে বেঁচে বর্তমানে একজন হৃদয়বান লিবিয়ানের আশ্রয়ে আত্মগোপন করে আছেন। তিনি দূতাবাসকে জানান, ১৫ দিন আগে বেনগাজী থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে কাজের সন্ধানে মানবপাচারকারীরা তাদের লিবিয়ার ত্রিপোলী শহরে নিয়ে আসার পথে তিনিসহ মোট ৩৮ জন বাংলাদেশি মিজদাহ শহরে দুষ্কৃতিকারীদের হাতে জিম্মি হন।
বাংলাদেশিসহ ওই অভিবাসীদের মিজদা শহরের একটি জায়গায় টাকার জন্য জিম্মি করে রেখেছিল মানবপাচারকারী চক্র। এ নিয়ে এক পর্যায়ে ওই চক্রের সঙ্গে মারামারি হয় অভিবাসী শ্রমিকদের। এতে এক মানবপাচারকারী নিহত হয়। তারই প্রতিশোধ হিসেবে সেই মানবপাচারকারীর লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।